পেঁয়াজের  সন্তোষজনক, বাজার অস্থির করলে ব্যবস্থা

পেঁয়াজের  সন্তোষজনক, বাজার অস্থির করলে ব্যবস্থা

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি ১০০ টাকা ছুঁলেও বাণিজ্য সচিব বলছেন, দেশীয় ও আমদানি করা পেঁয়াজের সন্তোষজনক মজুত রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা মজুত করবেন এবং বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এসব কথা জানান। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে টিসিবির মাধ্যমে ১৬ স্থানের পরিবর্তে রাজধানীতে ৩৫ স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘দেশীয় পেঁয়াজ ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ মিলিয়ে মজুত সন্তোষজনক। মনে করি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা পেঁয়াজের বাজার দর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন এর কোনো যুক্তি নেই। যারা মজুত করবেন এবং বাজারকে অস্থির করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের মজুত যথেষ্ট রয়েছে। মজুত পরিস্থিতি জানতে ১০টি টিম পাঠাচ্ছি, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে এসব টিম ১০টি জেলায় যাবে, যেখান থেকে বেশির ভাগ পেঁয়াজ আসে। এছাড়া বিভিন্ন স্থলবন্দর যেমন- বেনাপোল, বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্ন বন্দরে আমাদের কর্মকর্তারা থাকবেন, তাদের কাজ হবে মনিটরিং করা। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য, সবাইকে এ মেসেজ দেয়। এটা রাখার দরকার নেই দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে। কারণ পাইপলাইনে আমদানি করা পেঁয়াজ আছে। ফলে দেশের বাজারে জোগান সচল থাকবে।

জাফর উদ্দীন বলেন, ‘টিসিবিকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি এতদিন তারা ১৬টি ট্রাকে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এখন সেটা বাড়িয়ে ৩৫টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। আমরা সব সময় মনিটরিং করছি। আশা করছি, আগামীকাল (মঙ্গলবার) বা দ্রুত এর সুফল পাওয়া যাবে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। ভোক্তা অধিকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ চারটি টিম কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা কৃষি ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নিচ্ছি। আমাদের ঘাটতি খুব বেশি নয়। যেহেতু আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কাজেই পেঁয়াজ, রসুন, আদা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে ভবিষ্যতে আমদানির দিকে তাকিয়ে থাকতে না হয়।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে একটু সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা বসে নেই। এ বিষয় নিয়ে গতকাল (সোমবার) সকালে বসেছিলাম। একটি ভালো খবর হলো, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার যে প্রক্রিয়া ছিল সেটার দুটি জাহাজ এসে পৌঁছেছে নৌবন্দরে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি জাহাজের পেঁয়াজ গতকাল (রোববার) খালাস হয়েছে। একটি জাহাজ আজ খালাস হবে।’
মিয়ানমার থেকে দুটি চ্যানেলে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটা বর্ডার ট্রেড হিসেবে আসে টেকনাফ দিয়ে। এটা চলমান। একটা হলো ফরমাল চ্যানেলের মাধ্যমে নৌবন্দর দিয়ে। এছাড়া তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলমান। আসতে যতটা সময় লাগতে পারে। তবে সময়টা আমি বলতে চাচ্ছি না। যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারে।